উচ্চমাধ্যমিক হিসাববিজ্ঞান
অধ্যায় ৪
রেওয়ামিল
(Trial Balance)
প্রাথমিক ধারণা
হিসাব চক্রের চতুর্থ ধাপে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়। রেওয়ামিল এর ইংরেজি হলো Trial Balance । এখানে Trial অর্থ পরীক্ষা করা/যাচাই করা/ পরখ করা এবং Balance অর্থ জের/উদ্বৃত্ত/স্থিতি। রেওয়ামিল হলো এমন একটি বিবরণী যার মাধ্যমে হিসাব বইয়ের স্থিতির সঠিকতা যাচাই করা হয়।
হিসাব রক্ষণের প্রথম পর্যায়ে লেনদেন সমূহ সনাক্ত করা হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে লেনদেন সমূহ জাবেদাভুক্ত করা হয় যার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হলো লেনদেন সমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট হিসাব বই বা খতিয়ান শিরোনাম নির্দেশ করা। তৃতীয় পর্যায়ে জাবেদা হতে লেনদেন সমূহ হিসাবের বইতে বা খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই খতিয়ান বা হিসাবের বই হলো হিসাবের মূল বিবরণী। হিসাবের ধরণ অনুসারে লেনদেন সমূহকে শ্রেণী বিভাজন করে হিসাবের বই সংরক্ষণ করা হয়। অর্থাৎ লেনদেনের প্রকৃতি অনুসারে হিসাব সমূহকে সম্পদ, দায়, আয় এবং ব্যয় এ চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। অতপর প্রত্যেক শ্রেণীর আওতায় নির্দিষ্ট হিসাব শিরোনামের অধীনে লেনদেন সমূহ লিখা হয়। হিসাবকাল শেষে প্রতিটি শিরোনাম খতিয়ানের প্রারম্ভিক ডেবিট বা ক্রেডিট উদ্বৃত্তের সাথে উক্ত হিসাবকালের ডেবিট এবং ক্রেডিট দিকে লিখা লেনদেন সমূহ যোগ বিয়োগ করে সমাপনী উদ্বৃত্ত বাহির করা হয়। এ সমাপনী উদ্বৃত্ত হতেই আর্থিক বিবরণী অর্থাৎ আয় বিবরণী/লাভ-লোকসান হিসাব এবং উদ্বৃত্ত পত্র প্রস্তুত করা হয়। প্রতিটি লেনদেনের জন্য যেহেতু যে পরিমাণ অর্থ হিসাব বইয়ের ডেবিট দিকে লিখা হয় তার সমপরিমাণ অর্থ হিসাব বইয়ের ক্রেডিট দিকেও লিখা হয় সেহেতু হিসাব বইসমূহের ডেবিট উদ্বৃত্ত ক্রেডিট উদ্বৃত্তের সমান হয়। আর এ কারণেই উদ্বৃত্ত পত্রের দু’পার্শ্ব সমান হয়। যদি লেনদেন সমূহ হিসাব বইতে লিখার ক্ষেত্রে ভুল হয় অথবা প্রারম্ভিক উদ্বৃত্তের সাথে ডেবিট ক্রেডিট যোগ বিয়োগ করে সমাপনী উদ্বৃত্ত নিরূপণে ভুল হয় তবে হিসাব বই সমূহের ডেবিট উদ্বৃত্ত ক্রেডিট উদ্বৃত্তের সমান হবে না এবং উদ্বৃত্ত পত্রের দু’পার্শ্বও সমান হবে না। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত পত্র মিলবে না। এ কারণে হিসাব বিবরণী প্রস্তুতের আগে হিসাব বইয়ে লেনদেন সমূহ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না এবং সমাপনী উদ্বৃত্ত সঠিকভাবে নিরূপণ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করে দেখতে হয়।
লেনদেন সমূহ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না এবং সমাপনী উদ্বৃত্ত সঠিকভাবে নিরূপণ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য খতিয়ান শিরোনাম অনুসারে হিসাবের একটি দু’পার্শ¦ বিশিষ্ট তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক হিসাব শিরোনামের বিপরীতে টাকার অংকে ডেবিট উদ্বৃত্তের পরিমাণ ডেবিট পার্শে¦ এবং ক্রেডিট উদ্বৃত্তের পরিমাণ ক্রেডিট পার্শ্বে লিখা হয়। অতঃপর উভয় পার্শ্ব যোগ করা হয়। লেনদেন সমূহ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকলে, সমাপনী উদ্বৃত্ত সঠিকভাবে নিরূপণ করা হলে এবং উদ্বৃত্ত সমূহ যথাযথভাবে রেওয়ামিলে লিখা হলে রেওয়ামিলের উভয় পার্শ্বের যোগফল সমান হবে। যদি উভয় পার্শ্বের যোগফল সমান না হয় তবে প্রতিয়মান হয় কোথাও কোন ভুল হয়েছে। তখন ভুল উদঘাটন করে উভয় পার্শ্ব মিলানো হয়। সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত উক্ত তালিকা বা বিবরণীই হলো রেওয়ামিল বা Trail Balance ।
রেওয়ামিল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে পাচটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়;
১. খতিয়ানের প্রতিটি হিসাবের সমাপনী উদ্বৃত্ত নিরূপণ করতে হয়;
২. উদ্বৃত্ত রয়েছে এমন প্রতিটি হিসাব অন্তর্ভুক্ত করে দু কলাম বিশিষ্ট তালিকা প্রস্তুত করতে হয় এবং হিসাবের ডেবিট উদ্বৃত্ত ডেবিট কলামে এবং ক্রেডিট উদ্বৃত্ত ক্রেডিট কলামে লিপিবদ্ধ করতে হয়;
৩. ডেবিট উদ্বৃত্ত সমূহ যোগ করতে হয়;
৪. ক্রেডিট উদ্বৃত্ত সমূহ যোগ করতে হয়;
৫. ডেবিট উদ্বৃত্তের যোগ ফলের সাথে ক্রেডিট উদ্বৃত্তের যোগ ফলের তুলনা করতে হয়।
রেওয়ামিলের সীমাবদ্ধতা/রেওয়ামিল যে সকল ভুল উদঘাটন করতে পারে না;
রেওয়ামিল কেবলমাত্র সকল ডেবিট এবং ক্রেডিট উদ্বৃত্তের মধ্যে সমতা আছে কি না তা প্রদর্র্শন করে। তবে এটি হিসাবের নির্ভুলতার বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা প্রদান করে না। এর কারণ হলো রেওয়ামিলের উভয় পার্শ্ব মিলে যাওয়ার পরও হিসাবে ভুল থাকতে পারে। সাধারণত রেওয়ামিল মিলে যাওয়ার পরও যে সকল ভুল অনুৎঘাটিত থেকে যেতে পারে তা নিম্নরুপ;
- হিসাবভুক্ত করার ভুল: যখন কোন একটি লেনদেন লিপিবদ্ধ করার সময় উভয় হিসাবে একই ভুল সংঘটিত হয় তখন উক্ত ভুল বিদ্যমান থাকাবস্থায় রেওয়ামিল মিলে যায়। যেমন বাকীতে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে ৬৭,০০০ টাকা, ভুলক্রমে ক্রয় হিসাব ডেবিট করা হয়েছে ৭৬,০০০ এবং পাওনাদার হিসাবেও ক্রেডিট করা হয়েছে ৭৬,০০০ টাকা। যদিও পোষ্টিং দেয়া হয়েছে ভুল তথাপিও একই ভুল দু’দিকে করা হয়েছে বিধায় রেওয়ামিল মিলে যাবে।
- বাদ পড়ার ভুল: কোন একটি লেনদেন যদি সম্পূর্ণ বাদ পড়ে যায় অর্থাৎ হিসাবের কোন বইতে লিখা না হয় সেক্ষেত্রেও রেওয়ামিল মিলে যাবে, যদিও হিসাবে ভুল বিদ্যমান থাকে। যেমন, ৫০,০০০ টাকা মূল্যের একটি আসবাবপত্র বাকীতে ক্রয় করা হয়েছে, যার জন্য উক্ত ৫০,০০০ টাকা আসবাবপত্র হিসাব ডেবিট এবং বিবিধ পাওনাদার হিসাব ক্রেডিট করার কথা ছিল। কিন্তু ভুলক্রমে এ দুটি হিসাবের কোনটি ডেবিট বা ক্রেডিট করা হয়নি। এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত ভুল থাকা সত্বেও রেওয়ামিল মিলে যাবে।
- বিপরীত দাখিলার ভুল: কোন একটি হিসাব ডেবিট করার পরিবর্তে ক্রেডিট করলে এবং তার বিপরীতে অপর হিসাবটি ক্রেডিটের পরিবর্তে ডেবিট করলেও রেওয়ামিল মিলে যাবে। যেমন; বাকীতে পণ্যক্রয় করে পাওনাদারকে ক্রেডিট করার পরিবর্তে ডেবিট করে, তার বিপরীতে ক্রয় হিসাবকে ডেবিট করার পরিবর্তে ক্রেডিট করলে উভয় দিকের যোগফল মিলে যাবে।
- হিসাব শিরোনাম ভুল: যখন কোন একটি লেনদেন খাত ভুল করে সঠিক দিকে লিখা হয় তখনও রেওয়ামিল মিলে যাবে। যেমন বেতন প্রদান করে বেতন খাত ডেবিট করার পরিবর্তে অফিস ভাড়া ডেবিট করা হলে রেওয়ামিল মিলে যাবে। কারণ উভয় খাতটিই ব্যয় জাতীয়। এ কারণে একটি খাতের পরিবর্তে অন্যখাত ডেবিট করার কারণে রেওয়ামিলের যোগফলে কোন পার্থক্য হবে না।
- নীতিগত ভুল: নীতিগত ভুলের কারণেও রেওয়ামিল মিলার ক্ষেত্রে কোন বিঘœ সৃষ্টি হয় না। যেমন ১০০,০০০ টাকা মূল্যের একটি আসবাবপত্র ক্রয় করে স্থায়ী সম্পদ ডেবিট করার পরিবর্তে ব্যয় হিসাব ডেবিট করা হলে এটি নীতি গত ভুল হবে। তবে যেহেতু উভয়টিই রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে প্রদর্শিত হয় সে কারণে ভুল থাকা সত্বেও রেওয়ামিল মিলে যাবে।
- পরিপূরক ভুল: যখন একটি ভুল অপর একটি ভুলের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে তখনও উক্ত ভুল ধরা পড়ে না এবং রেওয়ামিল মিলে যায়। যেমন: কোন একদিন ১০,০০০ টাকার একটি ব্যয় সংশ্লিষ্ট হিসাবে ডেবিট দিকে হিসাবভুক্ত হয়নি এবং ঐ মেয়াদে অপর একটি হিসাবে ১০,০০০ টাকার একটি লেনদেন ক্রেডিট হয়নি। একখানে দ্বিতীয় দিনের ভুলটি প্রথম দিনের ভুলের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। দুটি ভুলই বিদ্যমান থাকাবস্থায় রেওয়ামিল মিলে যাবে।
রেওয়ামিলের সাহায্যে যে সকল ভুল উদঘাটন করা যায় বা যে সকল ভুলের কারণে রেওয়ামিল মিলে না
- যোগের ভুল বা মোট অংকের ভুল
- একদিকে ভুল পরিমাণ অংক লিপিবদ্ধকরন
- হিসাবের পক্ষ ভুল লিখন
- অসম্পন্ন দু’তরফা লিখন
- কোন হিসাবের জের টানার ক্ষেত্রে ভুল
- হিসাবের জের স্থানান্তরের ভুল
- কোন একটি পৃষ্ঠার যোগফল অন্য পৃষ্ঠায় স্থানান্তরের ভুল
- খতিয়ানভুক্ত কোন হিসাবের উদ্ধৃত্ত রেওয়ামিলে তুলতে বাদ পরা ভুল লিখন
- রেওয়ামিলের দু পাশের যোগ করতে ভুল করা
রেওয়ামিল প্রস্তুত প্রণালী (Method of preparing Trial Balance)
রেওয়ামিল প্রস্তুতের তিনটি প্রণালী রয়েছে।
১. উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিল (Balance method)
২. মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিল(Total method)
৩. উদ্বৃত্ত ভিত্তিক ও মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিল (Total and Balance method)
১. উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিল
প্রতিটি খতিয়ানের একটি ডেবিট দিক এবং একটি ক্রেডিট দিক থাকে এবং লেনদেন সমূহ ধরণ অনুসারে ডেবিট এবং ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি হিসাবকাল শেষে ডেবিট এবং ক্রেডিট যোগ-বিয়োগ করে প্রতিটি হিসাবের জের টানা হয়। অর্থাৎ ডেবিট দিকের যোগ ফলের সাথে ক্রেডিট দিকের যোগফল বিয়োগ করে উভয়ের পার্থক্য উদ্বৃত্তের ঘরে লিখা হয়। যদি ডেবিট দিকের যোগফল বড় হয় এটি হবে ডেবিট উদ্বৃত্ত এবং ক্রেডিট দিকের যোগফল বড় হলে এটি হবে ক্রেডিট উদ্বৃত্ত। অতঃপর খতিয়ানের ডেবিট উদ্বৃত্ত গুলো রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে এবং খতিয়ানের ক্রেডিট উদ্বৃত্তগুলো রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং রেওয়ামিলের ডেবিট এবং ক্রেডিট উভয় কলাম যোগ করা হয়। উভয় কলামের যোগফল মিলে যাবে। এ পদ্ধতিতে রেওয়ামিল প্রস্তুত করাকে উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিল বলা হয়।
২. মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিল
এ পদ্ধতিতে খতিয়ানভুক্ত প্রতিটি হিসাবের ডেবিট এবং ক্রেডিট দিকের যোগফল রেওয়ামিলের যথাক্রমে ডেবিট এবং ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ পদ্ধতিতেও রেওয়ামিলের ডেবিট এবং ক্রেডিট উভয় দিকের যোগফল সমান হবে। যদি উভয় দিকের যোগফল সমান না হয় তবে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, হিসাবের কোথাও না কোথাও ভুল রয়েছে। এক্ষেত্রে ভুল অনুসদ্ধান এবং উদঘাটন করে রেওয়ামিল মিলাতে হবে।
৩. উদ্বৃত্ত ভিত্তিক ও মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিল
এ পদ্ধতিতে উপরোক্ত দুটি পদ্ধতির রেওয়ামিল একসাথে প্রদর্শন করা হয়। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে টাকার/অংকের ঘর ডেবিট দিকে দুটি এবং ক্রেডিট দিকে দুটি করে মোট চারটি কলাম হবে। ডেবিট দিকের দুটি ঘরের একটিতে উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের অংক এবং অপরটিতে মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের অংক লিখা হয়। একইভাবে ক্রেডিট দিকের দুটি ঘরের একটিতে উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকের অংক এবং অপরটিতে মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকের অংক লিখা হয়। অতঃপর সকল কলাম যোগ করা হয়। এখানে এক পদ্ধতির যোগফলের সাথে অন্য পদ্ধতির যোগফলের পার্থক্য হবে তবে প্রতিটি পদ্ধতির উভয় দিকের যোগফল সমান হবে। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিলের যোগফলের সাথে মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিলের যোগফলের পার্থক্য থাকবে কিন্তু উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিলের উভয় দিকের যোগফল সমান হবে এবং মোট লেনদেন ভিত্তিক রেওয়ামিলের উভয় দিকের যোগফল সামান হবে।
উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিতে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা গেলেও প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রথমোক্ত পদ্ধতি অর্থাৎ উদ্বৃত্ত ভিত্তিক রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়। এর কারণ হলো খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহের উদ্বৃত্ত থেকেই আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করা হয়।
কিছু বিষয় বুঝে নিয়ে খুব সহজে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা যায়। বাস্তব ক্ষেত্রে রেওয়ামিল প্রস্তুত করতে হয় খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহের উদ্বৃত্ত সমূহ রেওয়ামিলে লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে। অপরদিকে পরীক্ষা বা অধ্যায়নের ক্ষেত্রে রেওয়ামিল প্রস্তুতের জন্য যে সমস্যা দেয়া থাকে তার মধ্যে সাধারণতঃ খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহের উদ্বৃত্ত অবিন্যস্তভাবে দেয়া থাকে। এক্ষেত্রে রেওয়ামিল তৈরী করার জন্য উদ্বৃত্ত সমূহের প্রকৃতি অনুসারে রেওয়ামিলে ডেবিট বা ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করে রেওয়ামিল তৈরী করা হয়। রেওয়ামিল তৈরী করার সময় মনে রাখতে হবে;
- খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহকে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা ১. সম্পদ, ২. দায়, ৩. মালিকানা স্বত্ব, ৪. আয় ও ৫. ব্যয়। অবশ্য মালিকানা স্বত্বকে দায় গণ্য করে মোট চারটি শ্রেণীতেও ভাগ করা যায়।
- হিসাব সমূহের দুটি পক্ষ বা দিক থাকে, যথা ডেবিট এবং ক্রেডিট।
- ব্যয় এবং সম্পদের ক্ষেত্রে সাধারণত ডেবিট উদ্বৃত্ত হয়;
- আয় এবং দায়ের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্রেডিট উদ্বৃত্ত হয়;
- রেওয়ামিলের দুটি দিক থাকে যথা ডেবিট এবং ক্রেডিট।
- যখন খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহ হতে সরাসরি রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয় তখন প্রত্যেক হিসাবের ডেবিট উদ্বৃত্ত সমূহ রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে এবং প্রত্যেক হিসাবের ক্রেডিট উদ্বৃত্ত সমূহ রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করে উভয় দিক যোগ করে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত বাস্তব ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়।
- পরীক্ষা বা অধ্যায়নের ক্ষেত্রে সাধারণত হিসাবের বই দেয়া থাকে না। হিসাবের বইয়ের পরিবর্তে সাধারণতঃ খতিয়ানভুক্ত হিসাব সমূহের উদ্বৃত্ত অবিন্যস্তভাবে দেয়া থাকে।
- এ ক্ষেত্রে রেওয়ামিল প্রস্তুতের প্রক্কালে শিক্ষার্থীকে হিসাবের উদ্বৃত্ত সমূহের প্রকৃতি চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রকৃতি অনুসারে যে সকল হিসাব সমূহ আয় বা দায় সম্পর্কিত সে সকল উদ্বৃত্ত সমূহকে রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। যেমন; কমিশন প্রাপ্তি, বিনিয়োগ হতে আয়, বিক্রয় ইত্যাদি শিরোনাম সম্বলিত হিসাবের উদ্বৃত্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয় এবং বিবিধ পাওনাদার, বকেয়া বেতন, ব্যাংক জমাতিরিক্ত উত্তোলন ইত্যাদি শিরোনাম সম্বলিত হিসাবের উদ্বৃত্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায় সুতরাং এ সকল দফা সমূহ রেওয়ামিলের ক্রেডিট দিকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। আবার কমিশন প্রদান, ঋণের সুদ. বেতন, ভাড়া ইত্যাদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় এবং ভুমি ও দালান, আসবাবপত্র, ব্যাংক জমা ও হাতে নগদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পদ। সুতরাং এ সকল দফা সমূহ রেওয়ামিলের ডেবিট দিকে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আর্থিক ক্ষতিও ব্যয় এর অনুরূপ, এর মাধ্যমেও খরচের মত নগদ বা সম্পদের বহি:গমন ঘটে, ফলে সকল ক্ষতি রেওয়ামিলে ডেবিট করতে হবে। প্রতিটি দফা রেওয়ামিলে স্থানান্তরের আগে শিক্ষার্থীকে দেখতে হবে উক্ত দফাটি কি আয় না কি ব্যয় অথবা দায় না কি সম্পদ। প্রতিটি দফা এ চারটির কোন না কোন একটি প্রকৃতির মধ্যে গণ্য হবে। উক্ত দফাটি চিহ্নিত করার পর উপরোক্ত নিয়মানুসারে রেওয়ামিলের ডেবিট বা ক্রেডিট পার্শ্বে লিপিবদ্ধ করে যোগ করতে হবে এবং উভয় পার্শ্ব মিলতে হবে। এ কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেই সঠিকভাবে রেওয়ামিল প্রস্তুত হবে।
রেওয়ামিলের ছক
রেওয়ামিল প্রস্তুতের জন্য পাঁচ কলাম বিশিষ্ট টেবিল/ছক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রথম কলামে ক্রমিক, দ্বিতীয় কলামে বিবরণ বা হিসাব শিরোনাম, তৃতীয় কলামে খতিয়ান পৃষ্ঠা, চতুর্থ কলামে ডেবিট দিকের অংক এবং পঞ্চম কলামে ক্রেডিট দিকের অংক লিখা হয়।
| ক্রমিক | বিবরণ বা হিসাব শিরোনাম | খতিয়ান পৃষ্ঠা | ডেবিট | ক্রেডিট |
রেওয়ামিল ছয় কলাম বিশিষ্টও হতে পারে। এক্ষেত্রে ছকটিকে প্রধানত ডেবিট ও ক্রেডিট এ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। বাম দিকে ডেবিট এবং ডান দিকে ক্রেডিট লিখা হয়। প্রত্যেক দিকে তিনটি করে কলাম থাকে। ১. ক্রমিক ২. বিবরণ বা হিসাব খাত/হিসাব শিরোনাম ৩. টাকার অংক। এখানে খতিয়ান পৃষ্ঠা উল্লেখ করতে চাইলে বিবরণ বা হিসাবখাত কলামের ডান পাশে আরও একটি কলাম বৃদ্ধি করে প্রত্যেক দিকে তিনটির পরিবর্তে চারটি করে মোট আটটি কলাম রাখা যেতে পারে।
| ডেবিট | |||||
| ক্রমিক | হিসাব শিরোনাম | টাকা | ক্রমিক | হিসাব শিরোনাম | টাকা |
অথবা
| ডেবিট | ক্রেডিট | ||||||
| ক্রমিক | হিসাব শিরোনাম | খতিয়ান পৃষ্ঠা | টাকা | ক্রমিক | হিসাব শিরোনাম | খতিয়ান পৃষ্ঠা | টাকা |
রেওয়ামিল তৈরীর জন্য কোন ছক মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া ছক মুখস্ত করা একটি কষ্টসাধ্য কাজ এবং মুখস্ত বিদ্যা উদগীরনে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে এবং কর্মজীবনে বাস্তবে প্রয়োগ করা কঠিন। এ জন্য রেওয়ামিলের দফাগুলো মূখস্ত করা অপেক্ষা দফাগুলোর প্রকৃতি বুঝে নিয়ে সে অনুসারে তার প্রয়োগ করা অধিক নিরাপদ এবং সহজ। নিচের ছকে প্রকৃতি অনুসারে রেওয়ামিলের দফা সমূহের উল্লেখ করা হলো:
| ডেবিট | ক্রেডিট |
| ব্যয় ও ক্ষতি সমূহ প্রারম্ভিক মজুদ ক্রয়/পণ্যক্রয়/ সমন্বিত ক্রয়/বিক্রিত পণ্যের ব্যয় বিক্রয় ফেরৎ/আন্ত:ফেরৎ আমদানী শুল্ক পণ্য ক্রয়ের পরিবহন/অন্ত:মূখী পরিবহন মজুরী/উৎপাদন মজুরী উৎপাদন সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয় জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, গ্যাস, কয়লা, পানি, আলো ও তাপ জাহাজ ভাড়া কারখানার ভাড়া/গুদাম ভাড়া পণ্য খালাস খরচ/ ডক চার্জ রপ্তানী শুল্ক সুপারভাইজারের বেতন কর/অভিকর/খাজনা বীমা সেলামী ডাক ও তার টেলিফোন/মোবাইল মনিহারী বিজ্ঞাপন নিরীক্ষা ফি আইন খরচ বিবিধ খরচ ব্যবসায়িক বা বানিজ্যিক ব্যয় ব্যাংক চার্জ আপ্যায়ন খরচ যাতায়াত ব্যয় মেরামত ও নবায়ন বেতন শিক্ষানবিশ সেলামী অফিস ভাড়া প্রশাসনিক ব্যয় প্রদত্ত কমিশন/কমিশন প্রদান/মঞ্জুরীকৃত কমিশন/ দস্তুরী/ বিক্রয় বাট্টা নমূনা সরবরাহ বাট্টা প্রদান রয়্যালটি শিক্ষানবিশ ভাতা মন্দ ঋণ/কুঋণ/অনাদায়ী পাওনা ব্যবসায়িক ব্যয় ঋণের সুদ/মূলধনের সুদ/ঋণপত্রের সুদ/সকল প্রকার ব্যাংক চার্জ সুদ ব্যয়/ব্যাংক জমাতিরিক্ত উত্তোলনের উপর সুদ বিক্রয় পরিবহন সকল প্রকার পরোক্ষ ব্যয় আগুনে বিনষ্ট পণ্যের ক্ষতি সকল প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান সম্পত্তি বিক্রয়জনিত ক্ষতি/বিবিধ ক্ষতি | আয় ও লাভ সমূহ বিক্রয়/রাজস্ব/সার্ভিস চার্জ প্রাপ্ত সুদ/সঞ্চয়পত্রের সুদ/ স্থায়ী আমানতের সুদ/ উত্তোলনের সুদ বাট্টা প্রাপ্তি/গ্রহণ/ক্রয় বাট্টা/ক্রয়ের উপর ছাড়। বিনিয়োগের মুনাফা/লভ্যাংশ প্রাপ্তি ভাড়া প্রাপ্তি/ উপ-ভাড়া উত্তোলনের উপর সুদ প্রাপ্ত অনুদান শেয়ার হস্তান্তর ফিস চালানী কারবার হতে আয় অনাদায়ী পাওনা আদায় ক্রয় ফেরত/বহিঃফেরত/বহিঃমূখী ফেরত সম্পত্তি বিক্রয়ের মুনাফা |
| সম্পদ ও সম্পত্তি | মূলধন ও দায় |
| হাতে নগদ/স্বর্ণ/রৌপ্য/মুদ্রা ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত দেনাদার/ বিবিধ দেনাদার/ প্রাপ্য বিল/ প্রাপ্য হুন্ডি/ প্রাপ্যনোট ক্রয়ের বিপরীতে অগ্রীম সকল প্রকার প্রদত্ত অগ্রীম প্রদত্ত জামানত সকল প্রকার প্রাপ্য সমূহ বিনিয়োগ সমূহ প্রাথমিক খরচ, বিলম্বিত খরচ মালিকানা স্বত্ব হ্রাস কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট, সুনাম, গ্রন্থস্বত্ব মেশিন ও কলকব্জা, খুচরা যন্ত্রাংশ আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম মটর গাড়ী, ডেলিভারী ঋেণ/ সকল প্রকার বাহন ভুমি/ভুমি ও দালান, ইজারাকৃত সম্পত্তি | মূলধন/মালিকানা স্বত্ব পাওনাদার/বিবিধ পাওনাদার/প্রদেয় বিল ব্যাংক জমাতিরিক্ত উত্তোলন/ ব্যাংক ঋণ/ বন্ধকী ঋণ /ঋণ হিসাব দাবিহীন লভ্যাংশ বকেয়া মজুরী/বকেয়া বেতন/বকেয়া ভাড়া/বকেয়া বিদ্যুৎ বিল/ঋণের বকেয়া সুদ/বকেয়া কমিশন অগ্রীম ভাড়া/অগ্রীম কমিশন প্রাপ্তি/ সকল প্রকার অগ্রীম আয় সকল প্রকার সঞ্চিতি তহবিল বা তহবিল সমূহ |
রেওয়ামিল বহির্ভূত দফা সমূহ:
কতগুলো শর্ত সাপেক্ষে বা বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত হিসাব সমূহ রেওয়ামিলের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
১. প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য; যখন রেওয়ামিলে সমন্বিত ক্রয় বা বিক্রীত পণ্যের ব্যয় এবং সমাপনী মজুদ দেখানো হবে।
২. পণ্য ক্রয়: যখন রেওয়ামিলে সমন্বিত ক্রয় বা বিক্রীত পণ্যের ব্যয় এবং সমাপনী মজুদ দেখানো হবে।
৩. সমাপনী মজুদ; যখন রেওয়ামিলে পণ্য ক্রয় এবং প্রারম্ভিক মজুদ দেখানো হবে।
৪. সম্ভাব্য দায়; যেহেতু সম্ভাব্য দায় কোন লেনদেন নয় সেহেতু এটি হিসাবভুক্ত হবে না।
৫. অব্যবহৃত মনিহারী; যখন মনহারির ক্রয় এবং প্রারম্ভিক মজুদ দেখানো হবে।
৬. মনিহারীর প্রারম্ভিক মজুদ; যখন মনিহারীর ব্যবহার ও অব্যবহৃত মনিহারী রেওয়ামিলে দেখানো হবে।
৭. যে কোন খতিয়ানের প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত, যেমন: ব্যাংক জমার প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত। কারণ রেওয়ামিল হলো খতিয়ান সমূহের সমাপনী উদ্বৃত্তের তালিকা।
পরীক্ষার্থীদের জ্ঞানস্তর যাচায়ের জন্য অনেক সময় এ সকল দফা সমূহ প্রশ্নে উল্লেখ থাকে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীগণকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মৌলিক উদাহরন (Key Example)-১
হায়দারী ট্রেডার্স একটি ভোগ্য পণ্যের উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাতকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ী একমালিকানা প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠান দু তরফা দাখিলা নীতিতে হিসাব সংরক্ষণ করে এবং বছর শেষে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করে থাকে। ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে উক্ত প্রতিষ্ঠানের খতিয়ান উদ্বৃত্তগুলো ছিল নিম্নরুপ;
| হিসাব খাত | টাকা | হিসাব খাত | টাকা |
| মূলধন পাওনাদার (ক্রয় খতিয়ানের জের) প্রদেয় বিল ব্যাংক জমাতিরিক্ত উত্তোলন বন্ধকী ঋণ প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য বকেয়া মজুরী বকেয়া বেতন বিনিয়োগ সার্ভিস চার্জ বকেয়া ভাড়া বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ঋণের বকেয়া সুদ বকেয়া কমিশন মূলধন সঞ্চিতি সাধারণ সঞ্চিতি আয়কর সঞ্চিতি অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি গ্র্যাচুইটি তহবিল হাতে নগদ (নগদ তহবিল) ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত দেনাদার (পুস্তক ঋণ) প্রাপ্য বিল ক্রয়ের বিপরীতে অগ্রীম অগ্রীম বেতন নিরাপত্তা জমানত বিনিয়োগের প্রাপ্য সুদ স্থায়ী আমানত ষ্টক ও শেয়ারে বিনিয়োগ সঞ্চয় পত্র প্রাথমিক খরচ সুনাম ট্রেডমার্ক ও প্যাটেন্ট মেশিন ও কলকব্জা খুচরা যন্ত্রাংশ আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম মটর গাড়ী ভুমি ও দালান ইজারা সম্পত্তি (৮ বছর) নিষ্কর সম্পত্তি পণ্য ক্রয় মূলধনের সুদ বাট্টা প্রাপ্তি (ক্রয়ের উপর বাট্টা) আমদানী শুল্ক অন্ত:মূখী পরিবহন জাহাজ ভাড়া পণ্য খালাস খরচ ক্রয় ফেরৎ/বহি:ফেরৎ সম্পত্তি বিক্রয়ের মুনাফা কমিশন প্রাপ্তি চালানী কারবার হতে আয় লভ্যাংশ প্রাপ্তি | ২০০০,০০০ ৪০০,০০০ ২০০,০০০ ৬০০,০০০ ৮০০,০০০ ৩৬,০০০ ৫০,০০০ ৪৫,০০০ ৮০,০০০ ৪৭৬,০০ ৩০,০০০ ৫,০০০ ৩৮,০০০ ১৫,০০০ ৫৫০,০০০ ৬৮,০০০ ৬০,০০০ ৯০,০০০ ১৬৫,০০০ ৭৫,০০০ ১২৫,০০০ ৬০০,০০০ ৩৫০,০০০ ২৫০,০০০ ৮০,০০০ ২৬,০০০ ৬,০০০ ৩০০,০০০ ৪০০,০০০ ১০০,০০০ ২৫,০০০ ৪৫,০০০ ৬০,০০০ ৮০০,০০০ ২৫,০০০ ১৫০,০০০ ৬০০,০০০ ১০০০,০০০ ৯৫,০০০ ১৬৫,০০০ ৫৫০০,০০০ ১১,০০০ ৩০,০০০ ৫৩,০০০ ১২০,০০০ ৮৮,০০০ ২২,০০০ ৬৬,০০০ ৮৪,০০০ ১৩,০০০ ৫৮০,০০০ ২৫,০০০ | মজুরী জ্বালানী ও তাপ আলো ও বিদ্যুৎ কারখানার ভাড়া গুদাম ভাড়া অনাদায়ী পাওনা আদায় অবচয় সুপারভাজারের বেতন রপ্তানী শুল্ক ভ্যাট প্রদান আয়কর বীমা সেলামী/অগ্নী/নৌ বীমা ডাক ও তার টেলিফোন ও মোবাইল মনিহারী বিজ্ঞাপন নিরীক্ষা ফি আইন খরচ বিবিধ খরচ ব্যবসায়িক বা বানিজ্যিক ব্যয় ব্যাংক চার্জ আপ্যায়ন খরচ যাতায়াত ব্যয় মেরামত ও নবায়ন বেতন অফিস ভাড়া প্রশাসনিক ব্যয় কমিশন প্রদান নমূনা সরবরাহ বাট্টা প্রদান (বিক্রয় বাট্টা) রয়্যালটি সমাপনী মজুদ পণ্য শিক্ষানবিশ ভাতা মন্দ ঋণ/কুঋণ উত্তোলন ব্যবসা উন্নয়ন ব্যয় ঋণের সুদ জমাতিরিক্ত উত্তোলনের সুদ কর্মচারীকে ঋণ প্রদান বাট্টা সঞ্চিতি বিক্রয় পরিবহন উত্তোলনের সুদ পরোক্ষ ব্যয় আগুনে বিনষ্ট পণ্যের ক্ষতি (বিনষ্ট পণ্যের বিক্রয় মূল্য শুন্য ছিল) বিক্রয় সঞ্চয়পত্র ও আমানতের সুদ বিক্রয় ফেরত(আন্ত:ফেরৎ) বিনিয়োগের মুনাফা/সুদ ভাড়া প্রাপ্তি ভুমি উন্নয়ন | ১২০০,০০০ ৯০,০০০ ৪৮,০০০ ৩৬০,০০০ ২৪০,০০০ ৬৭,০০০ ২৫০,০০০ ২৩০০০০ ১৬০০০ ২৮,০০০ ৩০০০০০ ৩৬০০০ ১৪,০০০ ২৪,০০০ ১৮,০০০ ৬০,০০০ ২৫,০০০ ১১,০০০ ২৩,০০০ ১১,০০০ ২,০০০ ৩৬০০০ ৩৯,০০০ ৬৩,০০০ ১৪০০,০০০ ৩৬০,০০০ ৭৫,০০০ ৮০,০০০ ৪০,০০০ ৪৫,০০০ ১৮,০০০ ৮৫,০০০ ১২,০০০ ৫৮,০০০ ৪৮,০০০ ১৯,০০০ ৯০,০০০ ৪৫,০০০ ৯,৫০০ ১৩,৫০০ ৬৭,০০০ ১৫,০০০ ২৪,০০০ ২৩,০০০ ১০,৩০০,০০০ ১৯,০০০ ১০০,০০০ ১৬,০০০ ৫৪,০০০ ৫০,০০০ |
উপরোক্ত তথ্যাদি হতে হায়দারী ট্রেডার্স এর ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬ তারিখে রেওয়ামিল প্রস্তুত করো;
সমাধান:
সমাধানের জন্য নিচের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করুন
লেকচার ভিডিও পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করুন
ওয়েবসাইট: www.soacfin.com
ইউটিউব চ্যানেল URL: https://www.youtube.com/channel/UCbCi5F8e23Um2Q1GAaNcUgQ