প্রথম অধ্যায়
হিসাব সমীকরণ কি
হিসাব সমীকরণ হলো দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির মূল ভিত্তি। দৈতস্বত্বার ধারণার উপর ভিত্তি করে হিসাববিজ্ঞানের এ গাণিতিক সমীকরণটির সূত্রপাত। দৈতস্বত্বার ধারণা প্রকাশ করে যে, কারবারের স্বত্বা তার মালিকানা হতে পৃথক এবং মালিক যে পরিমাণ সম্পদ কারবারে সরবরাহ করে তার বিপরীতে মালিকের দাবী রয়েছে। এ দাবী হলো ইকুইটি। ইকুইটি দু ধরণের হতে পারে, মালিকের ইকুইটি (মূলধন) এবং বহিঃইকুইটি (দায়)। সুতরাং কারবারের সকল সম্পদের বিপরীতে সমপরিমাণ দাবী বা ইকুইটি রয়েছে। লেনদেনের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধিপায় তার সমপরিমাণ দায়ও বৃদ্ধি পায়। অথাৎ করাবারের মোট সম্পদ অর্জিত হয় মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত মূলধন এবং উপকরণ সরবরাহকারী ও ঋণদাতাদের প্রদত্ত ঋণের সমন্বয়ে। এ কারণে সব সময় কারবারের মোট দায় কারবারের মোট সম্পদের সমান হবে। এ বিষয়টি নি¤েœাক্ত সমীকরণের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়;
সম্পদ = ইকুইটি(Assets = Equity) বা
সম্পদ = ইকুইটি (মূলধন)+দায় (Assets = Equity+Liability)
ইকুইটি (মূলধন) = সম্পদ-দায় (Equity = Assets -Liability)
দায় = সম্পদ – ইকুইটি (মূলধন) (Liability = Assets- Equity)
সমীকরণে প্রদর্শিত “সম্পদ” দ্বারা ব্যবসায় ব্যবহারের জন্য বিদ্যমান সকল প্রকার সহায় সম্পদ, উপকরণের সংস্থান নির্দেশ করে। যেমন হাতে নগদ, ব্যাংক উদ্বৃত্ত, মওজুদ পণ্য, আসবাবপত্র, ভুমি ও দালান ইত্যাদি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ সকল সম্পদ অর্জন করার জন্য এর বিপরীতে দায় সৃষ্টি করে মূল্য পরিশোধ করে, যা উক্ত সমীকরণের দায় অংশের অন্তর্ভূক্ত থাকে অথবা মালিকের কাছ হতে তহবিল সংগ্রহ করে মূল্য পরিশোধ করে, যা ইকুইটি বা মূলধনের অন্তর্ভূক্ত থাকে। অর্থাৎ সম্পদ অর্জনের জন্য যে তহবিল প্রয়োজন হয় তা দুটি উৎস হতে আসে ১. মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত মূলধন বা ইকুইটি ২. পাওনাদারদের সবরাহকৃত ঋন। অতএব ব্যবসায়ের যে মূল্যের সম্পদ থাকে তার বিপরীতে সমপরিমাণ পাওনাদার বা ব্যবসায় বিনিয়োগকারী মালিক পক্ষের দাবী থাকে বিধায় দায় সম্পদের মধ্যে সমতা থাকে।
হিসাব সমীকরণের সম্পদ, দায় ও মূলধন এ তিনটি উপকরণ প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত পত্রে প্রদর্শিত হয়। উল্লেখ্য উদ্বৃত্তপত্র কোন একটি নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার চিত্র প্রকাশ করে।
দায়ের মধ্যে ব্যবসায়ের স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী সকল প্রকার প্রদেয় হিসাব অন্তর্ভূক্ত থাকে। যেমন সরবরাহকারীদের প্রদেয় হিসাব, সেবার যোগান দাতাদের বিবিধ পাওনা, সরকারকে প্রদেয় কর এবং ঋণ দাতাদেরকে প্রদেয় ঋণের সুদ ও মূল ঋণ ইত্যাদি।
শেয়ার হোল্ডারদের ইকুইটি বা মূলধন অংশের মধ্যে শেয়ার ধারক বা মালিকগণ প্রাথমিকভাবে যে মূলধন সরবরাহ করেন তার সাথে পরবর্তীতে অর্জিত মুনাফা, পুনরায় সংগৃহীত মূলধন যোগ করে এবং লোকসান ও উত্তোলন বা বন্টিত লভ্যাংশ বিয়োগ করে দেখানো হয়।
উদ্বৃত্ত পত্রে প্রদর্শিত সস্পদ, দায় ও মূলধনের প্রতিটির একটি অপরটির সাথে সম্পৃক্ত আর এ কারণেই হিসাব সমীকরণটি একটি চিরন্তন সত্য।
হিসাব সমীকরণ ও হিসাব সমীকরণের উপর লেনদেনের প্রভাব এর উদাহরণ
গোমতি টেক্সটাইল লিঃ নি¤েœাক্ত লেনদেন সমূহ সম্পন্ন করে;
১. শেয়ার বিতরণ করে উদ্যোক্তাদের নিকট হতে কোম্পানীর ব্যাংক হিসাবে অর্থ আদায় করে এক কোটি টাকা। এ লেনদেন কোম্পানীর ব্যাংক উদ্বৃত্ত (সম্পদ) বৃদ্ধি করে এবং একই সাথে মূলধন (ইকুইটি) বৃদ্ধি করে।
২. প্রধান কার্যালয়ের ভবন মালিককে জামানত হিসেবে প্রদান করা হয় এক লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় ব্যাংক উদ্বৃত্ত (সম্পদ) হ্রাস পেয়েছে এবং একই সাথে জামানত ও আগ্রীম(সম্পদ) বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩. পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মূল্যের কাঁচা মাল ক্রয় করা হয়েছে যার বিশ লক্ষ টাকা বাকীতে এবং ত্রিশ লক্ষ টাকা চেকে প্রদান করা হয়েছ। এ লেনদেনের ফলে ক্রয় (ব্যয়) বা মওজুদ মাল (সম্পদ), প্রদেয় হিসাব (দায়) বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে পঞ্চাশ লক্ষ এবং বিশ লক্ষ এবং ব্যাংক উদ্বৃত্ত হ্রাস পেয়েছে ত্রিশ লক্ষ টাকা।
৪. উৎপাদন ব্যয় হয়েছে দশ লক্ষ টাকা যার মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মজুদ পণ্য (সম্পদ) ও প্রদেয় ব্যয় (দায়) বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে দশ লক্ষ ও পাঁচ লক্ষ এবং ব্যাংক উদ্বৃত্ত (সম্পদ) হ্রাস পেয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা।
৫. বাকীতে বিক্রয় করা হয়েছে পঁচিশ লক্ষ টাকা যার বিক্রয় ব্যয় বিশ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় মওজুদ পণ্য (সস্পদ) হ্রাস পেয়েছে বিশ লক্ষ এবং প্রাপ্য হিসাব (সম্পদ) ও আয় (ইকুইটি) বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে পঁচিশ লক্ষ ও পাঁচ লক্ষ টাকা।
৬. প্রাপ্য হিসাব হতে নগদে আদায় করা হয়েছে দশ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় হাতে নগদ (সম্পদ) বৃদ্ধি পেয়েছে দশ লক্ষ টাকা এবং প্রাপ্য হিসাব (সম্পদ) হ্রাস পেয়েছে দশ লক্ষ টাকা।

হিসাব ও হিাসাবের শ্রেণীবিভাগ (Account and Classification of Account)
হিসাববিজ্ঞানে হিসাব বলতে কোন একটি শিরোনামের অধীনে খতিয়ান পৃষ্ঠাকে নির্দেশ করে যার মধ্যে আয়, ব্যয়, সম্পদ, দায় ও ইকুইটি ইত্যাদির লেনদেন এবং হ্রাস বৃদ্ধির বিবরণ ধারাবাহিকভাবেলিপিবদ্ধ করা হয়।অর্থাৎ হিসাব হলো খতিয়ানের আওতাভূক্ত একটি বিবরণী যেখানে আয়, ব্যয়, সম্পদ, দায় ও ইকুইটি ইত্যাদি বিষয়াবলীর মূল্য প্রভাবিত করে এমন ঘটনা বা লেনদেন সমূহ নির্দিষ্ট শিরোনামে, ধারাবাহিক ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং কোন নির্দিষ্ট সময়ে উক্ত শিরোনামের আয়, ব্যয়, সম্পদ, দায় এর অবস্থা প্রদর্শিত হয়।যেমন “আসবাবপত্র” একটি হিসাব শিরোনাম। উক্ত শিরোনামের অধীনে রক্ষিত খতিয়ান বা হিসাব বহিতে আসবাবপত্র সম্পর্কিত হিসাবের পূর্ণ বিবরণ তথা আসবাবপত্রের ক্রয়-বিক্রয়, অবচয়, হ্রাস-বৃদ্ধিধারাবাহিকভাবে লিখিত থাকে এবং পরিশেষে স্থিতি প্রদর্শিত হয়। হিসাবের আরও একটি উদাহরণ হলো “হাতে নগদ”। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ থাকে, সকল নগদ লেনদেন এ হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।প্রতিষ্ঠান নগদ অর্থের বিনিময়ে যা কিছু ক্রয় করে বা বিক্রয় করে অথবা পাওনা পরিশোধ করে, সে সকল লেনদেন সমূহ এ হিসাবের আওতায় লিপিবদ্ধ করা হয়।
দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির নিয়মানুসারে লেনদেন সমূহ লিপিবদ্ধ করার জন্য হিসাব সমূহের শ্রেণী বিভাজন এবং ডেবিট ক্রেডিট নিরূপণের প্রয়োজন হয়। এশ্রেণীবিভাজন এবং ডেবিট ক্রেডিট নিরূপণ করা হয় হিসাবের প্রকৃতি অনুসারে। নিচে হিসাবের শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলোঃ
হিসাবকে দু’ভাবে শ্রেণীবিভাজন করা হয়। একটি হলো প্রচলিত পদ্ধতি আর একটি হলো আধুনিক পদ্ধতি। প্রচলিত পদ্ধতিতে হিসাব সমূহকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে;
১. ব্যক্তিবাচক হিসাব (Personal Account)
২. সম্পত্তিবাচক হিসাব (Real Account)
৩. নামিক হিসাব (Nominal Account)
৪. মূল্যায়ন হিসাব (Valuation Account)
ব্যক্তিবাচক হিসাব: ব্যক্তিবাচক হিসাব সমূহে প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা, গ্রাহক বা খাতক, সরবরাহকারী, ঋণদাতা, ঋণগ্রহীতা, ব্যাংক এবং মালিকগনের লেনদেন প্রদর্শিতহয়। এ সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বহু সংখ্যক বাকীতে লেনদেন হতে পারে।এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি করে পৃথক হিসাব তৈরী করতে হয় এবং উক্ত হিসাব সমূহে কারবারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনেরধারাবাহিক বিবরণী হিসাবভুক্ত হয় ও দেনা পাওনারপরিমাণ প্রদর্শিত হয়।
ব্যক্তিবাচক হিসাবগুলো আবার তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত, প্রাকৃতিক ব্যক্তি সত্ত¡া, কৃত্রিম ব্যক্তিসত্ত¡া এবং প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যক্তিবাচক হিসাব।
প্রাকৃতিক ব্যক্তির হিসাব হলো ব্যক্তি মানবের নামের হিসাব। যেমন মুবারক হোসাইন নামক কোন ব্যক্তির সাথে সম্পাদিত লেনদেন সমূহ “মুবারক হোসাইন” শিরোনামে সংরক্ষণ করা হয়। মুবারক হোসাইন কারবারের দেনাদার বা পাওনাদার হতে পারে।
কোন কোম্পানী, ফার্ম, বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির নামে সংরক্ষিত হিসাব হলো কৃত্রিম ব্যক্তিস্বত্ত¡ার হিসাব, অপর দিকে যখন কোন হিসাবকোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে সে হিসাবকে বলা হয় প্রতিনিধিত্বকারী নামিক হিসাব। যেমন “প্রদেয় বেতন” এ হিসাব দ্বারা সকল কর্মচারীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায় নির্দেশ করে। অর্থাৎ সামষ্ঠিকভাবে সকল কর্মচারীদের প্রতি উক্ত হিসাবের অর্থ প্রতিষ্ঠানের পরিশোধযোগ্য দায় রয়েছে।
সম্পত্তিবাচক হিসাব
সকল সম্পদ ও সম্পত্তি যেমন ভুমি, দালান, প্লান্ট, মেশিনারিজ, মওজুদ পণ্য, বিনিয়োগ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, নগদ অর্থ ইত্যাদি এ হিসাবের অন্তর্ভূক্ত হয়। যখন নগদ অর্থ দ্বারা মেশিন ক্রয় করা হয় তখন “হাতে নগদ” এবং “প্লান্ট এন্ড মেশিনারিজ” এ দুটি সম্পত্তিবাচক হিসাব প্রভাবিত হয়। তবে যদি মেশিনটি নগদ অর্থের পরিবর্তে বাকীতে ক্রয় করা হয় তবে “হাতে নগদ” নামক সম্পত্তিবাচক হিসাবের পরিবর্তে ব্যক্তিবাচক হিসাব প্রভাবিত হবে।
নমিক হিসাব
সকল আয়, ব্যয়, মুনাফা ও লোকসান নামিক হিসাবের অন্তর্ভূক্ত হয়, যেমন মজুরী, বেতন, অফিসভাড়া, ক্রয়, বিক্রয়, বাট্রা ইত্যাদি। আয়-ব্যয় হিসাব বা লাভ-লোকসান হিসাব প্রনয়ণকালে এ সকল হিসাব প্রদর্শন করা হয়।
মূল্যায়ন হিসাব
অবচয় সঞ্চিতি এবং সন্দেহজনক দেনার সঞ্চিতি এ হিসাবের অন্তর্ভূক্ত হয়। কখনো কখনো স্থায়ী সম্পদের উপর ধার্যকৃত অবচয় উক্ত সম্পদ হতে বাদ দিয়ে অবচয়পরবর্তী সম্পদ উদ্বৃত্ত¡ পত্রে দেথানো হয়। আবার কখনো কখনোউদ্বৃত্ত¡ পত্রেস্থায়ী সম্পদের ঐতিহাসিক মূল্য বা ক্রয়মূল্য প্রদর্শন করা হয় এবং উক্ত সম্পদের উপর ধার্য্যকৃত অবচয় উদ্বৃত্তপত্রের দায় দিকে অবচয় সঞ্চিতি শিরোনামে দেখানো হয়। একই ভাবে সন্দেহজনক দেনাদার এর বিপরীতে সৃষ্ট সঞ্চিতি উদ্বৃত্তপত্রের দায় দিকে সন্দেহজনক দেনা সঞ্চিতি শিরোনামে দেথানো হয়। উক্ত উভয় সঞ্চিতি মূলত স্থায়ী সম্পদ ও দেনাদার হতে বাদ যায়। সম্পদ এবং দেনাদার মূল্যায়ন হতে এ ধরণের সঞ্চিতির উদ্ভব হয়।
উদাহরণ;

অংক চর্চা
(নিচে তিন ধরনের অংক রয়েছে। প্রথমে মৌলিক উদাহরণ দেয়া হয়েছে, অত:পর সাধারণ উদাহরণ এবং সবশেষে আত্ম-যাচাই মূলক সমস্যা রয়েছে। মৌলিক উদাহরণে সম্ভাব্য সকল ধরনের লেনদেন সন্বিবেশিত করা হয়েছে এবং লেনদেন সমূহের সমাধান দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীগণ যাতে সহজে এবং নিজে নিজেঅধ্যয়নেরমাধ্যমে বুঝতে পারে তার জন্য প্রত্যেকটি দফার সমাধানের সাথে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। একাধিকবার চর্চা করে মৌলিক উদাহরণ সমূহ আয়ত্ত করে নিলে শিক্ষার্থী যে কোন প্রশ্নের সমাধান করতে সক্ষম হবে। তবে পরীক্ষায় উপস্থাপনের জন্য সাধারণ উদাহরণ এবং আত্ম-যাচাই এর সমাধানের অনুসরণ করতে হবে।)
মৌলিক উদাহরণ-১
সাবরিণ এন্টারপ্রাজের হিসাব বইতে নি¤েœাক্ত লেনদেন সমূহ লিপিবদ্ধ আছে;
১. সাবরিণ এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা শুরুর দিন মালিক হতে নগদ গ্রহণ করেছে ৯০,০০০ টাকা এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করেছে ১,২০,০০০ টাকা, তাছাড়া ২০,০০০টাকা মূল্যের আসবাবপত্র প্রদান করেছে এবং মালিকের নামে রেজিষ্ট্রিকৃত ৫০,০০০ টাকা মূল্যের একটি মোটর সাইকেল মালিক ব্যবসায়ের কাজে ব্যবহার করে।
২. জাকির হোসেনের নিকট হতে নগদে ক্রয় করা হয়েছে ২০,০০০ টাকার পণ্য।
৩. করিমের নিকট হতে বাকিতে পণ্য ক্রয় করা হয়েছে ২৫,০০০ টাকা।
৪. অফিসের জন্য একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিন ক্রয় করা হয়েছে ৫,০০০ টাকা।
৫. ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্য আমদানী করা হয়েছে ৪০,০০০ টাকা, যার ৩০% এলসি খোলার সময় এবং ২০% আমদানী পর্যায়ে পরিশোধ করা হয়েছে। উক্ত মাল ব্যাংকের গুদামে প্লেজকৃত আছে।
৬. আমাদানীকৃত পণ্য খালাস কালে আমদানী শুল্ক পরিশোধ করা হয়েছে ৩,০০০ টাকা।
৭. ব্যাংক কর্তৃক ধার্যকৃত চার্জ ১,০০০ টাকা।
৮. বিক্রয় ব্যবস্থাপকের আকস্মিক মৃত্যুতে ঐ মাসে প্রাক্কলিত বিক্রয় অপেক্ষা বিক্রয় কম হয়েছে ১৫,০০০ টাকা।
৯. নতুন বিক্রয় ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যার বেতন ধার্য করা হয়েছে মাসিক ৬,০০০ টাকা।
১০. ক্যাশ হতে চুরি হয়েছে ৫০০ টাকা এবং ব্যাংক হতে উত্তোলন কালে ছিনতাই হয়েছে ৫,০০০ টাকা।
১১. বদিরের নিকট পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে ১৯,০০০ টাকা।
১২. বদিরের নিকট হতে পণ্য ফেরৎ এসেছে ২,৫০০ টাকা।
১৩. জনতা ব্যাংকের নিকট ৩,০০,০০০০ টাকার ঋণের আবেদন করা হয়েছে যা প্রক্রিয়াধীন আছে।
১৪. পণ্যরপ্তানি করা হয়েছে ১০,০০০ টাকা যার বিল আদায়ের জন্য ব্যাংকে দাখিল করা হয়েছে।
১৫. রপ্তানি শুল্ক পরিশোধ করা হয়েছে ৮,০০০ টাকা।
১৬. স্থায়ী সম্পদের অবচয় ধরা হয় আসবাবপত্র ১,৫০০ টাকা এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রণ মেশিন ১,০০০ টাকা।
১৭. পাওনাদারকে প্রদান করা হয় নগদ ১০,০০০ টাকা এবং চেক ৫,০০০ টাকা।
১৮. দেনাদারের নিকট হতে নগদ পাওয়া গেল ৮,০০০ টাকা এবং চেক ১২,০০০ টাকা যা আদায়ের জন্য ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে।
১৯. ব্যাংকঋণ মঞ্জুর করেছে ২,০০,০০০ টাকা যার মধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে ১,০০,০০০ টাকা।
২০. কর রেয়াতের জন্য সঞ্চয় পত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০,০০০ টাকা।
২১. বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একটি মোটর কার ক্রয় করা হয়েছে ৭০,০০০ টাকা।
২২. ক্রয়কৃত পণ্য ফেরৎ দেয়া হয়েছে ৪,০০০ টাকা।
২৩. ব্যাংকে জমা দেয়া হলো ১৮,০০০ টাকা।
২৪. মালিকের জীবনবীমা প্রিমিয়াম দেয়া হয়েছে ২৫০০ টাকা।
২৫. সঞ্চয় পত্রের সুদ পাওয়া গেল ৫০০ টাকা।
২৬. আয়কর প্রদান করা হয়েছে ২,০০০ টাকা।
২৭. শিক্ষানবিশ সেলামী পাওয়া গেল ১,৫০০ টাকা
২৮. শিক্ষানবিশ ভাতা দেয়া হলো ৩০০ টাকা।
২৯. ইসলামী ব্যাংকে হিসাব খোলা হল ২,০০০ টাকা।
৩০. বিজ্ঞাপন বাবদ প্রদান করা হলো ১,০০০ টাকা।
৩১. কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয় ৮,০০০ টাকা এবং ঈদ বোনাস দেয়া হয় ৪,০০০ টাকা।
৩২. মালিকের নিকট হতে মোটর সাইকেলটি ৩৫,০০০ টাকায় ব্যবসায়ের জন্য ক্রয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৩৩. নববর্ষ উপলক্ষ্যে সম্ভাব্য ক্রেতাদেরকে নিমন্ত্রন করা হয়েছে যার জন্য ব্যয় প্রাক্কলন (বাজেট) করা হয়েছে ৪,৫০০ টাকা।
৩৪. ব্যাংক ঋণের উপর সুদ আরোপ করা হয়েছে ৬,০০০ টাকা।
৩৫. পণ্য ক্রয়ের জন্য চুক্তি হয়েছে ৫০,০০০ টাকা এবং অন্য একজন সরবরাহকারীকে ফরমায়েস (অর্ডার) দেয়া হয়েছে ১৫,০০০ টাকা।
৩৬. ভিক্ষা ও দান করা হয়েছে সর্বমোট ৪০০ টাকা।
৩৭. ৫০০ টাকার পণ্য নমুনা (সেম্পল) হিসাবে বিতরণ করা হয়েছে।
৩৮. আগুনে পণ্য বিনষ্ট হয়েছে যার ক্রয় মূল্য ২,০০০ টাকা এবং বাজার মূল্য ২,৫০০ টাকা।
৩৯. একটি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান পণ্যেরগুণগত মান খারাপ মর্মে গুজব ছড়ানোর কারণে বিক্রয় সাময়িক হ্রাস পেয়েছিল।
৪০. পণ্য বিক্রয় করা হলো ১১,৫০০ টাকা যার মধ্যে ১,৫০০ টাকা ভ্যাট অন্তুর্ভূক্ত আছে।
৪১. বিক্রয়ের সাথে গৃহীত ভেট জমা দেয়া হলো ১,৫০০ টাকা।
৪২. একজন কর্মচারী অবসর গ্রহণ করে যার বেতন ছিল মাসিক ৩,০০০ টাকা, অবসর গ্রহণ কালে প্রতিষ্ঠানের নিকট তার চাকুরী সুবিধার আওতায় পাওনা দাড়িয়েছে ২৮,০০০ টাকা এবং আরো একজনকে বরখাস্ত করা হয় যার বেতন ছিল ২,৫০০ টাকা।
৪৩. ব্যাংক জমার উপর সুদ পাওয়া গেল ৬০০ টাকা।
৪৪. ৩,০০০ টাকা দেনা রয়েছে এমন একজন ক্রেতা দেউলিয়া হয়েছে যার সম্পদ হতে ৫০% পাওয়া যাবে।
৪৫. পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রয় ১,৮০০ টাকা, যার বই মূল্য ২,০০০ টাকা।
৪৬. শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে ৫,০০০ টাকা এবং ৮%ঋণপত্র ক্রয় করা হয়েছে ১০,০০০ টাকা।
৪৭. কমিশন প্রদান করা হলো ৩০০ টাকা
৪৮. কমিশন পাওয়া গেল ৯০০ টাকা।
৪৯. অফিস ষ্টেশনারী (মনিহারী) ক্রয় ৭০০ টাকা।
৫০. অফিস ভাড়া প্রদান ২,৮০০ টাকা।
৫১. বছর শেষে সমাপনী মজুদ পণ্য মূল্যায়ন করা হয়েছে ২৫,০০০ টাকা
করণীয়:
১. ঘটনা গুলো লেনদেন কি না কারণসহ আধুনিক পদ্ধতিতে/সনাতন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা কর।
২. অর্থের দ্বারা পরিমাপযোগ্য নয় এমন ঘটনা চিহ্নিত কর।
৩. কারণসহ লেনদেনগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট হিসাব গুলোর আধুনিক শ্রেণী বিভাগ দেখাও/লেনদেন সমূহের সাথে জড়িত হিসাবগুলোর শ্রেণীবিন্যাস কর।
৪. লেনদেন সমূহের প্রতিটি হিসাব খাতের ডেবিট এবং ক্রেডিট নির্ণয় কর/সমীকরণ পদ্ধতিতে উপরোক্ত লেনদেন গুলোর কারণ উল্লেখপূর্বক ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় কর।
৫. হিসাব সমীকরণের বর্ধিত রুপটি লিখ।
৬. লেনদেন সমূহ দ্বারা প্রমান কর অ=খ+ঙঊ
৭. হিসাব সমীকরণের মাধ্যমে লেনদেনের প্রভাব দেখাও/হিসাব সমীকরণের কোন উপকরণে কি পরিবর্তন এসেছে তা দেখাও।
৮. নগদ উদ্বৃত্তের পরিমাণ নির্ণয় কর।
৯. মোট উত্তোলনের পরিমাণ নির্ণয় কর।
১০. ব্যাংক সংক্রান্ত লেনদেন সমূহের জাবেদা দেখাও
সমাধান
(শিক্ষার্থীর চর্চা এবং অনুধাবন উপযোগী সমাধান)
বাকি অংশ দেখার জন্য নিচের পিডিএফ (PDF) ফাইল ডাউনলোড করুন।